রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সলেমানপুর পালপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তের পথে। কালের খবর

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সলেমানপুর পালপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তের পথে। কালের খবর

 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), কালের খবর : রাম জোয়ার্দার
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সলেমানপুর পালপাড়া পরিবারের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে পড়েছে এই শিল্প। তারপরও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছেন অনেকেই। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর পালপাড়ার বিজয় পাল (৪৫) পিতা :মৃত্যু : অন্তত পাল তিনি বলেন। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে

আমরা বলি মৃৎশিল্প। কারণ, এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। এ কাজে পরিষ্কার এঁটেল মাটির প্রয়োজন হয়। কেননা, এঁটেল মাটি বেশ আঠালো। দোআঁশ মাটি তেমন আঠালো নয়। আর বেলে মাটি তো ঝরঝরে-তাই এগুলো দিয়ে মাটির শিল্প হয় না। বাঙালি জীবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্পটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এই শিল্পের প্রসার। অনেকে এপেশায় থাকলেও মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা না থাকায় অভাব-অনটনে সংসার চালাতে পারছেন না তারা। একবেলা আধবেলা খেয়ে দিনানিপাত করছেন অনেক মৃৎশিল্পী। এক সময়ের কর্মব্যস্ত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা সলেমানপুর পালপাড়ার সব এখন নিরবতা।

মৃৎশিল্পী পুরান পাল (৪০) সমির পাল (৫০) বেমো পাল বলেন, যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় আমরা মাটির জিনিস তৈরি করে আসছি। এ পেশার সঙ্গে আমরা জড়িত থাকলেও আমাদের উন্নয়নে বা আর্থিক সহায়তায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও বা সমিতি থেকে সহযোগিতা পেলে হয়তো বাপ-দাদার
আমলের স্মৃতিকে ধরে রাখা সম্ভব হতো।

এ ব্যাপারে সরেজমিন উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের বিজয় পাল সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও আমরা ধরে রেখেছি।এই গ্রামে ১৮ ঘর মৃৎ শিল্প ছিলাম, অনেকে মৃৎশিল্পী কাজ ছেড়ে অন্য ব্যবসা করছে। এই ব্যবসায়
আর মাত্র ৫ ঘর মৃৎ শিল্প কাজ করছি।

এই গ্রামের আশপাশে সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিজয় পালের। পরিবারের অতিহ্য একসময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল কিন্তু বর্তমানে বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে এই মৃৎ শিল্পটি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com